প্রকাশিত: ৫:২০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিয়ের পাঁচ মাসের মাথায় হারুনুর রশিদ নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। নিহতের পরিবারের দাবি, রশিদের কপালে ও গলায় জখম ছিল।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ভোররাতে উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী গ্রামের শ্বশুর বাড়ির পাশের বাগান থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হারুনের শ্বাশুড়ি খুকি বেগম এবং স্ত্রী বৈশাখী বেগমকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। হারুনের শ্বশুর মনছুর আহমেদ ও ভায়রাভাই জুয়েল ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছে।
নিহত হারুনুর রশিদ সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের নবীগঞ্জ বাজার এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি পেশায় কসাই (মাংস ব্যবসায়ী)।
হারুনের ভাই রিয়াজ হোসেন ও বোন জোৎস্না বেগম জানায়, তাদের ভাবি বৈশাখীর বিয়ের আগে প্রেম ছিল। বিয়ের পরেও তিনি প্রেমিকের সাথে কথা বলতেন। এ নিয়ে প্রায়ই হারুনের সাথে তার কথা কাটাকাটি হতো। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে হারুনকে তার ভায়রাভাই জুয়েল শ্বশুর বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়৷ রাত ৩ টার দিকে খবর আসে হারুন আত্মহত্যা করেছে। এটি আত্মহত্যা নয়। তাকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
হারুনের পরিবারের লোকজন জানায়, প্রায় ৫ মাস আগে পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের চরবংশী গ্রামের মনছুর আহমেদের মেয়ে বৈশাখীর সাথে হারুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এর কিছুদিন পরই জানা যায় বৈশাখীর অন্য ছেলের সাথে প্রেম রয়েছে। বৈশাখীও নিয়মিত ওই ছেলের সাথে কথা বলতো। এনিয়ে হারুন ও বৈশাখীর মধ্যে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হত। এসব কারণে কয়েকদিন আগে বৈশাখী তাদের বাড়িতে চলে যায়।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিপন বড়ুয়া গণমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের কপালে জখম রয়েছে। শশুর বাড়ির লোকজন জানিয়েছে হারুন নিজেই বরই গাছের সাথে আঘাত করে কপালে জখম করে।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
সারাদিন/১৭ জানুয়ারি/এমবি